কবিতা
বারীন ঘোষাল-এর কবিতা
প্রিজম
আক বাক ডুম মেশানো মোকামের কথায়
ওগো ধোঁয়াময়
খোলামেলা বারিশ-ধনুর ধূন
বোজা চোখপালকে পেখম
পালকে বুদবুদ
পালকে আলতো আঙুল
ট্রিগারে
ভয়ে প্রাণ উড়ে যায়
পাখি তার অবোধ ছায়াটাও নিয়ে গেল
হাফটাইমের ঘন্টা বাজে বধির স্কুলে
টিকিট কাউন্টারের ভেতর থেকে খালি আত বেরিয়ে এল
চালকহীন গাড়ি
স্ট্রেচার ট্রলি অলেস্টার
এসবে ভয় পাই
ভয়ে আমার রংপ্রিজমটা ভেঙ্গে গুঁড়োময়
তোমার প্রিজমটা থাক না থাক না
রংমিলান্তি খেলা
ইলেকট্রনের ট্রেন চেপেছে গুরাশ চোখের টুরিস্ট
সাইট সিইং-এ বেরিয়ে কবিতার অপরিসীমে তারা থামতেই পারলো না
ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে গেল বিবনে
গুলির আরো কাছে এল প্রাণ
সবুজ-লালে না নীল-সবুজে
গায়ে হলুদের বেনে বৌ
ফুলেদের কাছে ফুলেরা খেলছে হেলিয়া
ফুট ফূট করছে ফুলগণনার মানুষহীন জীবন
শুধু প্রজাপত্নীর নবীন প্রজাপতি
এ রূপ রূপোমার
ওং ব্রহ্ম
দেয়ালের কান বদলে যায় খুকির আঁকিবুকি গানে
বছরের ক্যালেন্ডার
বয়সকাল
রেডিওর আধোগান কাঁপছে নদীর বাতাসে
কাশ উপমার অবকাশে বিরক্ত হয় সে
বাজনবীণায় টান তান সেট করছে না কিছুতেই
নারীস্বনে ধোঁয়া বৃষ্টির ওভার ভার
এলো ফাগাম
নাকি লাল নীল রঙের শব্দে রংমিলান্তি খেলছে রামধনু
___________________________________________________________________________________
___________________________________________________________________________________
রবীন্দ্র গুহ-র কবিতা
সতীচ্ছদ কচি ঘাসের মতন, পশুর খাদ্য
ঝাঁকানো বুকের ওপর বাতাস থম উজানি-রক্তে নুনঘাম উরটৌড়ি রাজপুতানীর
হাইমেন ভাঙছে
লাখো দুঃখমোহব্বতের কথা বলা হয়েছে, ভয়ংকর তাড়নায় খামচে দিয়েছে
নিরুন্মেষ লজ্জামুখ
এখন ধুঁদুল অঙ্গে অ্যামোনিয়া পেট্রোল
ফড়ফড় ফাড়ছে অর্গ্যান্ডির জামা
চুপসা মুখ হাতটাত মিলমাত্রাহীন উড্ডয়মান নিতম্ব দুলুনি
'লাস্ট টাইম লাস্ট টাইম' বলে আধডোবো ভাষাক্ষিপ্ত, মধ্যসাগরে মহাগল্পের জলদস্যু যেনবা
ঝুমতা সময় থাভাঁ নাচৈ, ঘর নাচৈ হঁসৈ, খেলন্ লাগি খাট - দেয়াল নাচে ঘর নাচে
হাসে খেলতে থাকে খাট
আদরে আভাসে ধ্রুব ভেলভেটের বালিশ চাদর কম্বল -
অাহ্ ওহ্
সেই থেকে সারস, কেবল উড়োমেঘের টহল দানবের দাঁতে, উরোজ ফেনায়িত
আলিঙ্গনের ঝুমবাতাসে
'অ্যায়াম রণবীর'- তলপেটে বালিশ নিচুরে খাটিয়ায় কাত রাজপুত হ্যঁ-হ্যঁ
ভিডিও চলছে বস্ত্রাদি সামলাও সাফসুতরো করে নাও
লড়কি নাদান সুখশীতলা স্ফুটনমুখ অধরস্তন - জড়জটা বুকের দরিমান
হাটেবাজারের অধ্যায় শেষে
এখন চেরাগ যোনিশ্মশানে, কৌটো বার করে, জর্দা খায়, আতরে সুবাসে
সালোয়ারকামিজউড়না
সুখের ছয়লাপে ইচ্ছা মাতোয়ারা তুরবুরে
মুঠোর ধরতাইয়ে লেলাখেলা হাজারো রণবীরের থুঁতনি থোবড়া
গুমটে গদাই হুম্ হুম্ হুম্ হুম্
শুরুতে যেমন শুরু নিত্য নিত্য সেইভাবেই কোন ব্যতিক্রম নেই মেজর মিটার পজ্
তবু, চুপসানো জাবেদা খাতা, হাতটাত, ধুতুরা ঠোঁট, চ্যাপ্টা হয়ে গড়ায়
মামু, ঝুটমুট পরী ভেবে এনু, উয়ারে ধরেছে জিনে
থুতমা রাজপুতানি বারোঘরের থরোফেয়ারে, খোলা গায়ে ইঁটের জঙ্গলে।
___________________________________________________________________________________
___________________________________________________________________________________
স্বপন রায়-এর কবিতা
খুন
কিছু টিবেটঘন, কিছুটা হেলো বলার সময় যৌনসা
সেই যে হাস্কি বেগানামুশুর আমি সেই রঙ হয়ে যাই
নিকটাপন্ন আঁচ হাবিবি হাবিবি রাস্তাটা
যাই
আসি
বাইরে খুন হয়
আবার সাযৌন গাযৌন গেরস্থবিরল এই নিকট টিবেট
ঠান্ডা
আর মাথা ঠান্ডা রেখে খুনের মধ্যে রাস্তাটা কি নির্জন রাস্তাটা
জলের কান্ত নেয়া হর্নে শোয়ানো রাস্তাটা
আসি
যাই
আরেকটা খুন হয়, ভেতরে
এত স্বাভাবিক এসব
আমি রুমালটা বের করি, খুক খুক করি, কি যেন ঢেকে
___________________________________________________________________________________
___________________________________________________________________________________
শুভঙ্কর দাশ-এর কবিতা
আর চাঁদা লাগবে না
গতকাল প্রকাশ্যে হ্যান্ডেল মারার অপরাধে
বিপ্লবকে রিহ্যাব থেকে
তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আমার বন্ধু উল্লাহ চেন্নাইয়ের বয়েজ হস্টেলে
ঘরের এক কোণায় চলে যেত হাত মারতে।
তা নিয়ে কারো কোনরকম মাথা ব্যথা দেখিনি
দু একজন বলতো শুধু বাথরুমে যা না।
এখন সে নিশ্চয় ছেলেপুলে নিয়ে
ঘোর সংসারী নৈতিকতার মাস্টারমশাই।
রিহ্যাবের মালিক আমার বন্ধু
কবি বিপ্লবও আমার বন্ধু
তাই খানিকটা মাফি ইত্যাদির কথা
বলতে গিয়ে বুঝলাম বিপ্লবই ঠিকই লিখেছিল
‘মানুষের যে নৈতিকতা যে বোধ তাকে
দেবত্বে উন্নীত করে তাকে প্রণাম
মৃত্যুকে প্রণাম জীবনকে প্রণাম
বন্ধুদের প্রণাম নিজেকে প্রণাম’
পুনর্বাসন কেন্দ্রের বন্দীত্ব থেকে
ধীরে ধীরে অমানুষ হওয়ার থেকে
সে পালাতে পেরেছে।
আমাদের আর তার জন্য চাঁদা না তুললেও চলবে।
হলুদ যিশু
তাহিতির হলুদ যিশুর সামনে বসে আছি
চুপচাপ, পেছনের মাঠ ঘাটের রঙ শরীরে টেনে
কি বোঝাতে চাইছে এই দুবলা যিশু?
পায়ের কাছে মাথা নিচু করে আছে
তিনজন বাদামী রমণীর শোক,
প্রতিবাদহীন যেন তারা মেনে নিয়েছে
এই বিপর্যয়, রাজবেশের তুমুল ঝলকানি।
কিছুই করার নেই জেনে ইতিহাসের পাতা
উল্টে যাচ্ছে কে্উ,
আর দেশটাকে চড়িয়ে দিয়েছে ক্রুশ কাঠে যারা
তাদের খবর লিপিবদ্ধ করছে কোথাও
কোনও এক গগাঁ।
___________________________________________________________________________________
___________________________________________________________________________________
সব্যসাচী সান্যাল-এর কবিতা
১
আর
বাতিল ঘোড়া তাকে নামিয়ে দেয় দোরগোড়ায়। সরাইখানার ধুলোজমা মদের বোতল তার
সামনে এগিয়ে দেয় মালিক। লাইটার জেলে শুকনো মাছ পুড়িয়ে নিতে নিতে সে দেখতে
পায় কড়া চাঁদের আলোয় অর্ধেক জীবন নিয়ে হেঁটে আসছে মোমের মানুষ তার জুতোর
স্পারগুলো ঘুরছে আর দেহাতি মরদগুলো মেয়েদের বুক থেকে মুখ তুলে ডুকরে উঠছে।
এ’সমস্ত আবহকে আমি চিনতাম
অন্তত সেই পোড়া গন্ধে যা দুধ উথলে ওঠার
মুহুর্তে দাগানো থাকে
হাসপাতাল পেরিয়ে যানজট পেরিয়ে
দানোর মত একা লোহার ব্রীজ পেরিয়ে
টাউনক্লাবের মাঠে সে আবহ আমার ছোটবেলা
ছুঁয়ে দিয়েছিল
যে দিন আমি গুলতি হাতে মহুয়ার ডাল
থেকে পেড়ে ফেলেছিলাম কাক
দাঁতের ফাঁকে গোলাপের কাঁটা নিয়ে দেখতে পাচ্ছিলাম
শালবন ফুঁড়ে টলতে টলতে স্পষ্ট হয়ে উঠছে বাবা
ডাক্তারের হাত থেকে পেথিড্রিনের সিরিঞ্জ থেকে একটা
ফটফটে সাদা চাদর যখন ১০ বাই ১২ ঘর ঢেকে ফেলল
আমার নিরাপত্তাকে ঢেকে ফেলল
সেদিন আমি কিছু বোঝাতে পারিনি
আজ
যখন বেড়ালগুলো নিশ্চিন্ত মনে থাবা চেটে চলেছে, মাথার ভেতরকার সমস্ত
নির্দেশ ভুলে আমি যখন অক্ষর হাতড়ে চলেছি। বিশ্বাস কর তখনও আমি তোমাকে আর
কিছুই বোঝাতে চাইছি না।
২
আর
আমি তোমাকে কিছুই বোঝাতে চাইছি না, তুমি তো জানোই যে সমস্ত আসবাব আর
যন্ত্রাংশ আমাদের ঘিরে থাকে, তাদের স্বভাবগুলো, নড়াচড়াগুলো কী’ভাবে আমাদের
বদলে নেয়, আমাদের ছাড়াছাড়া ঘটনাগুলোকে কী’ভাবে এক চলন্ত অসীমের সামনে
ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় আর কখন আমাদের মুখের সমস্ত বিস্ময় এক অপূর্ব দুঃখের
মধ্যে কাচের পুতুল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ভেঙ্গে যাওয়ার পর যার চূর্ণতা থেকেও সে
বিস্ময় মুছে যেতে পারে না, আর আমাদেরও কোনোভাবেই রেহাই পাওয়া হয়ে ওঠে না।
আমি
তোমাকে কিছুই বোঝাতে চাইছি না। করুণায় আমার গলা, জামা লাল হয়ে উঠছে, আমি
বুঝতে পারি বয়সের লক্ষণই এই-- যে খুঁত, ফোকর আজীবন ভরাট করার চেষ্টা করে
গেছি আজ তারাই মায়ায় ভারী করে দেয় আঙুল। আর আমি তোমাকে কিছুই বোঝাতে চাইছি
না, সেরকম সুনামও নেই আমার, বরং বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে আমি বেসিন থেকে প্লেট
তুলে সুতির কাপড়ে শুকিয়ে নিচ্ছি তার ভঙ্গুরতা—আজ না হয় জিগ্যেস না’ই বা
করলে আমার খাওয়ার পাট চুকে গেছে কি-না।
৩
তোমার শহর থেকে সরে গেছি
আমার আবেগ শুধু ফাঁকতালে ফিরতে চাইছে
রাতের আলোয় সেই সব নিঃসঙ্গ
বাড়িগুলো অতিকায় ছায়া
আমি তো মানুষের মত বার
বার উদ্ধার হতে চাই
চাঁদের আলোয় জমে যাওয়া
ফুটপাথ থেকে বাসের চাকার দাগে
ঢুকে যেতে চাই আর জানি
একটু পরেই সৌজন্যের মত তুমিও
হারিয়ে যাবে দরজা পর্যন্ত
___________________________________________________________________________________
___________________________________________________________________________________
ফারহান ইশরাক-এর কবিতা
দুধপুকুর
তেরো লাখ তিন একর জমিতে একটা দুধের পুকুর। কেটেছে কারা
বলতে পারে না কেউ। প্রত্নপুরীর কিছু কথা মিথের কাছে মাথা কুটে
মরে। খনকরা হয়ত ভেবেছে দুধকষ্ট দূর হবে মানুষের।
ঘামকষ্ট জলকষ্ট এসব তো বলতে গেলে ফকিন্নিদের বিষয়বস্তু!
পঞ্চাশ কোটি তেয়াত্তর লাখ পিঁপড়া এসে দুধ খেতে চায়। প্রশাসন
কেবল শেকলের আওয়াজে সব বুঝিয়ে দিতে চায়।
তারাও বলতে পার না সেইসব গাভী কোথায় আছে। দোহকের
টানের রক্ত দিয়ে তারা প্রমাণ করে ক্ষধার চেয়ে লোভের চুম্বক
কতকটা বেশিই প্রবল।
বাটের ধারে এত শরবত ঢেলে দুগ্ধবতীরা এভাবে গায়েব!
কয়েক কোটি শিশু জাতিপুঞ্জের বারান্দা ঘুরে পুকুরপাড়ে আসে
মহাসচিবের আশ্বাসে তারা এ দিকে পা বাড়ায়, শুকনো মুখে তাদের
ফিরে যেতে হয়। খবরপতিরা খুশিতে বেকুব। দুধের আবার পুকুর
হতে পারে!
ছোটো ছোটো পেটের খোল ভরে দেয়ার ব্যাপারে তাদের আগ্রহ অল্পই।
জোছনায় দুধের সরে অপার্থিব মায়া। পিঁপড়া আসে চিনিগুদাম থেকে
সৌন্দর্য ও পেটব্যথা এক সঙ্গে চলতে পারে না, এটা তারা বোঝে।
তবু মনের খুশিতে বিড়বিড়িয়ে বলে: সকল প্রশংসা অচেনা মজদুরের
যারা রক্তঘামে ভরে দিয়েছিল কাঁচা মাটির আয়তাকার ফ্রেম।
টিসুসভ্যতা
খাবার টেবিলে টিসুপেপার নিয়ে তারিফের গুঞ্জন চলল একটানা
জিনিসটা মোছার ফরমাশে এত ভালো, খারাপ কিছু নিন্দুকেরও চোখে
পড়বে না।
একজন বলল: পরের ময়লা গায়ে মেখে পলকে সে নোংরা হয়ে যায়
নিজেকে মোছার কায়দা রপ্ত আছে তার, হলফ করে কে বলতে
পারে? গড়নে এতই নরোম, সামান্য পানির ছিটায় গোশত খসে পড়ে!
বড়োলোকি ভোজসভা, চামড়ার নিষ্ঠুরতায় পা না ঢেকে কেউ কী আর
ভেতরে ঢুকতে পারে? গামছার তবু সখ, রাখালের কোমর জড়িয়ে
শরিক হতে চাইল সে পানচুমুকের একান্ত মজলিশে।
দরোজার ফাঁক দিয়ে সবাই দেখল শহরে ঢুকতে গেরামেরও খায়েস
কম না। কেউ ভাবল: একে অন্যের ভেতরে ঢোকাই তো সভ্যতা!
একটা কণ্ঠ বলল: গামছাই তো ভালো। অন্যকে মোছার পরে নদী থেকে
ডুব দিয়ে আসে। তার পরে রোদের চুম্বকে কী সুন্দর বাতাসে চমকায়!
কথার রেশ অন্য দিকে ঘুরিয়ে কে-যেন নতুন আভাস তুলল জিভে
সে বলল মানুষ প্রসঙ্গে: মানুষ কেবল নিজের হুজুরি ফলায়। অন্যের গায়েবি
ময়লা সাফ করে খুশিতে আটখানা। নিজেরে ধুইতে গিয়ে তার দশাও
টিসুর মতো কঠিন হয়ে উঠবে না তো!
টিপকাঠি
নদীর ভাঁজপত্র চেটে একটা মাছ সাঁতরে চলে যায়
বড়শি পেতে অপেক্ষাই সার, টিপকাঠি মোটেই নড়ছে
না!
পানির পাইরেসি বেশ জানে ধীবরচক্র! চটচটে কামলালা
মুছতে মুছতে হাইকোর্ট পার হয়ে যায়। সম্মতি-সনদ
তার কাছে লালসার পোস্টারই তো, আর কিছু নয়!
নদী শব্দটি অভিধানে আছে, তবু দেখ ঢেউয়ের ঝঞ্ঝায়
পৃষ্ঠা ভিজছে না! মাছের পটকাসমূহ বইয়ের সেলাইগুচ্ছ
কামড়ে ধরে আছে!
দুই পাতার খোলা সিঁথি জোছনা পাঠের শাস্ত্র বুঝবে না
নৌকাভরতি খুচরা তারকা নিয়ে মল্লার কতদূর যেতে
পারে!
সড়ক প্রযুক্তি
পকেট কেটে বেরিয়ে পড়ছে অজস্র রাস্তা। জিজ্ঞেস কর কোথায় যাবে,
বলতে পারবে না। কোনটা অনেক দূরে যায়, বাড়ির ঠিকানা হয়ত
নিজেই জানে না।
ডিমের ভেতর থেকে একটা পথ উড়ে যায় রকমারি প্রশাখার দিকে
খড়কুটা জমিয়ে কেউ সেথা এক উষ্ণতার আবাস গড়ে তোলে
একটা হয়ত খেয়াঘাটে বসে ভাবে ফেরি ছাড়া তার কোন উদ্ধার
মিলবে না।
কতেক সরণি আছে হাওয়ায় ঝোলানো। দোল খেতে খেতে একটা
চোখের
থেকে আরেকটায় লাফিয়ে পৌঁছায়! জাগরণ ছাড়িয়ে কোনটা ঘুমের
ভেতর একটু দেবে যায়। স্বপ্ন স্বপ্ন বলে একটা আবার চোখের লালায়
আস্তে গলে যায়।
নিজের গড়া রাস্তায় হেঁটে কারো কারো অহমিকা সীমানা ছাড়ায়
যে রাস্তায় সে রাস্তা খুঁজে পায়, বলতে পারে না তার স্থপতি-সংবাদ।
ছুরিকা
ছুরি এক-কিনারে মেধার তল্লাশ
দেখ পাকানো চোখ পলক মেরে ছাড়
বটে নির্দেশিত হাতের ক্রীতদাস
ছি ছি লোহার কুসুম ফুলকি জ্ব/জলা ধার!
সরু বাটের নিচে আঁধার চমকায়
মারে মেঘের পেটে চতুর চোরা টান
খুনের চিকন গলি ভ্রষ্ট পথঘাট
বমি ফিনকি দিয়ে গন্ধাবলি দান
দেখি অংক খাতা তালুর তল্লাট
করে ভাগ্যলিপি খুচরা পরিপাঠ।
খ্যাতির পেরেক মারা পাঁচটি পাটাতন
কাঠের চিলতে কেটে সাঁটানো বেশ টাট
খোলের একটু নিচে ফতুর ফাটা মন
দেখ পাশটেবিলে তবকপানের ডাঁট।
রোদে মেঘ প্রতিভার বলক দেয়া বাটি
ভোগের লাল করোটি অবাক সাড়া পায়
ছুরি লোহার কুসুম ফলায় পরিপাটি
পাছে জংধরা ঢং প্রকাশ পেয়ে যায়।
হাইমেন
প্রত্নপরিধি জুড়ে এত গোঙ্গানি, কে ঘুমাতে পারে?
খুলির মটকা ফেটে উড়ে যায় মগজের সমুহ মদিরা!
গলা কাটা পাখির রক্তে অন্ধকার লাল হতে পারে এত!
ছুরিগুচ্ছ নিভে গেছে, পলকের পুলক শেষে নিথর
বসুধা।
নুনের তৃষ্ণা মিটেছিল, আমিষের দায় নেবে এতটাই
লিপ্সা তাদের? প্রেতের দুর্গ থেকে অস্ত্র আসে। কুসুমের
কুঞ্জ থেকে বিস্ফোরকও এসে বলে, প্রবলের ছিনিমিনি
যে খেলতে পারে, প্রত্নবতী সরীসৃপও ছোবল বসাবে না।
দুধের বলক অব্যাহত, উপগ্রহে বমিভাব আদৌ কি কমছে!
বকের পালক উড়বে দুঃসহ, খুনের খঞ্জনা ক্রমশ গভীর?
জবাইকরা পাখি নিয়ে বসে আছি, কুমেরুতে সূর্য উঠবে না?
তিন দাগ সমুদ্রে ভেজানো
জীবনের তিন দাগ সমুদ্রে ভেজানো, এক ভাগ লবণ ফ্যাক্টরি
পার হয়ে পান্তাভাতে মাথা কুটে মরে। ফেনার তালুকে জিভ
ফণা ধরে আসে সেই পানি।
ট্রে’র খোলে রসগোল্লা রাখার বদলে শব্দ সাজিয়ে রাখছি
রস বলতে হরফের রতি, সলতে ধরে একাকি জ্বলতেছে
কথার কাস্টোমার এসো, চার ফর্মা সেল করে নাস্তা সারা
যাবে।
হৃদয় এমনই কিনা, দেহ থেকে লাফিয়ে নেমে কথা বলতে পারে
অঙ্গবর্তনি থেকেও বিদ্যুতের চিরিক ছুটে ফর্সা হয়ে যায়
উইন্ডো খুলছি দূরঅধ্যায় দেখতে পাব ভেবে, কত ভোরে
ট্রেন ছেড়েছিল।
যাবই বা কই? রাস্তা বলতে সাপ, শুয়ে ছিল পছন্দের
মাপে। কে কোথায় পা রাখবে বিরূপতা নাক গলাতে পারে!
সর্বেশ্বরবাদ
রবের সাথে দেখা করা ফরজ, এ কথা বলার পরে আমারে জবাই করে
লোকটা কী ঢুকল মসজিদে! রক্তপেয়ালায় কপাল ডুবিয়ে তার এখন
কার কথা মনে পড়ে?
বাড়ির পাশে একে একে পাঁচ সরোবর। দফার সাঁতারে তার কসুরের দাগ
মুছবে তো?
দুধের সর-কাটা জোব্বা জড়িয়ে রক্তমাছিও বড়োই গর্বিত। তার মতো বুজুর্গ
কে আছে সংসারে; ডানার গুঞ্জনে তারও আছে দুর্দান্ত জিকির!
সবখানে আছেন দয়াল: এ ভাষ্য তাহার। বলেছিলাম, ফোঁড়ে বাঁধা জামার খোলসে
নিজেই ঢুকছ তবে কোন অধিকারে? জুতার ভ্যাপসা খোলে পা ডোবালে কমে বাঁচে
প্রভুর সম্মান; তোমার মতে, কানায় কানায় ভরা নয় কি চরাচরে তাহার হাজিরা?
বলেছিলাম, বস্তুপরিধিময়তা আর সমুহের গায়েবি এখতিয়ার এই দুই প্রপঞ্চ কী
এক হতে পারে?
কথা নয়, ছুরির ফলায় এলো অকথ্য জবাব। কয়েক মুহূর্ত গড়ায়
মহারশ্মি উড়ে যান; পড়ে থাকি প্রশ্নবোধক কথারাশি। আয়নায় চূড়ান্ত উদ্ধার।
___________________________________________________________________________________
___________________________________________________________________________________
ইন্দ্রনীল ঘোষ-এর কবিতা
চোখ
চোখ শব্দে ক্রমাগত টিউবওয়েল টানছে কেউ
গ্রামকে গ্রাম
পাখিদের পালিয়ে যাওয়া প্রত্নতত্ত্বগুলো
টিউবওয়েল টেনে টেনে বাজিয়েই চলেছে –
এত দীর্ঘ ভাঙা-চোরা
তার ছায়া যেন নোটেশন চেয়েছে কারও কাছে!
তদন্ত
কৃষিকে চাটছে তার হেমন্ত
আলোকিত ওলোট-পালোট টানা জিভে...
খুঁড়তে খুঁড়তে পাওয়া যাবে সবক’টা আদিম অক্ষর –
যারা এই পথে তীর্থ করতে যেত
নিভে যাওয়া অক্ষরের পাশে, নেভানো কৃষক প’ড়ে আছে
সেই নিরুদ্দেশে
এক টুকরো তদন্ত জ্বালাই আমি
সন্ধেবেলা
প্রদীপের আলো, আর, শিষ দেওয়ার কৌশলের মাঝে
রোজ
সন্ধে অবদি গড়িয়ে পড়তো মা...
___________________________________________________________________________________
___________________________________________________________________________________
অরবিন্দ চক্রবর্তী-র কবিতা
গোলের যত বুদ্বুদ
ওকে তো আমি চিনি- টেবিলে দুঃসংবাদ নিয়ে বসে
থাকে -স্বাক্ষর রাখে না।
কেবল বিলি করে বিজলিসংবাদের যত হাহাকার
বিনিয়োগ প্রথা আঙুলের নখে নিয়ে
সাঁকো পারাপার বিষয়ে ব্যস্ত থাকে প্রতিদিন।
দেখা যায় ধোঁয়া পাকিয়ে গোল করে দেয়
গোলের বুদ্বুদ জমিয়ে একটা সুঁচ ঢুকিয়ে দেয়
সুতা সমেত।
নির্বিকার তখন অফিস ক্যারানি
ঘাটে বসেও দেখতে পায় না বড়শিখেকো মাছ।
তোমার চোখে তখন রহস্যোন্মুখ মেঘপ্রিন্ট প্রতিলিপি
পৃষ্ঠার গোপনে তুলে রটায় হাজার প্রণালীর করতালি।
নিন্মলিখিত গোল
বলো তো দেখি, কার বাপের নাম রাস্তা?
উঁচুফ্ল্যাটের বাচ্চাটি ঝাঁপিয়ে নামল
আমার সামনে দাঁড়িয়ে বলে কিনা, তুমি কেন হাইওয়ে?
সিকোয়েন্স নিয়ে ভাবতে গিয়ে ধাক্কা খেল আনন্দ
আনন্দের চোখে আমরাঙা বিষণ্নতা
যারা মনখারাপের সস্তা চুক্তি নিয়ে পথে বসেছো
আমার রাঙা ধমক তাদেরই জন্য
ঘাড় বাঁকালে দেখবে, তোমার নিম্নলিখিত গোলে
জমছে অর্বুদ বছরের হাওয়াই মিঠাই।
সাবান নির্ভর কবিতা
মোড়ক ফসকে বেড়িয়ে এলে -এটুকু ঠিক আছে
সাবানের ধারণা থেকে বেরুলে তোমাকে মানাতে পারিনা
ঘর ও জানালাভিত্তিক
বিবেচনা করা যাক, পাশাপাশি আলোচনা থাকাও ভালো-
তুমি তো জানো
বেসিনে জারুল পাতার জোসনা নিয়ে কাউকে বাসনা রাখা যায়
তারপর যা হয়, হতে থাকে...
নিভে যাওয়া কথার বুদ্বুদ থেকে যা হবে, সেটুকু ফেনা
আরটুকু ঢেউ, পুরোটাজুড়ে তুমি এবং খানিক আহত বার্তা
বাকিটা পরিণত ফলবাচক আমি
বনমর্মের দস্যুতা করে তোমার বুকে আঁচড়ে যাবো
স্মৃতিনির্ভর ব্যাক্তিগত বুলডোজার।
না কথা
সম্ভবত পাখি এক ধরনের নৃতাত্বিক ভাষা
যার কথা নিভিয়ে দিলে
সে কারও প্রেমের প্রস্তাবে এগোওনা
জীবন নামে তার স্বাগতা বন্ধু আছে
যে কিনা বালিশের নিচে পিল লুকিয়ে রেখে
জন্মদিনের মোম পোড়ায়
ওয়েটিং লিস্টের নিঃসঙ্গ কেবিনে।
মধ্যরাতের মস্করা:০২
যেহেতু পথে আছো। দেখা হয়ে যাবে একজন রেলক্রশিংয়ের । কালো রেখাটিই যদি তোমাকে
বলে ফেলে অধিপতি। খামোখাই একবার তাকে পাগল বলবার অধিকার নিও।
পাতার আড়াল থেকে বৃত্ত-চাঁদ যাকে অধ:পতন ডাকে। দেখি তাকে টমেটোর মতো গোল।
গড়াতে শুরু করলে পিছু নেয় ভূতুড়ে সব আলোবাজের লালসা নিয়ে।
তো আমার জন্য তুলে রেখো অন্ধ বাবুইয়ের গান। রেকর্ডপ্লেয়ারে অহেতুক বাজাবো
অবসর পেয়ে ফড়িংকে তুমি যে কবার বলেছিলে
নিজেকে মত্ত পালোয়ান ভাবার রূপকথা।
আজ মেঘ করছে, রাক্ষস আসবে পাশের ফ্ল্যাটে
আকাশপথ নিয়ে তাজা পা নকল নিবন্ধ লিখবে।
কথা দিচ্ছি, আজ মহাকাশদস্যুর দেখা পেলে তিনবার শিস বাজিয়ে
তাকে বেহুঁশ করবার প্রেশব্রিফিং আমি করবোই।
___________________________________________________________________________________
___________________________________________________________________________________
ইন্দ্রজিৎ দত্ত-র কবিতা
রঁদেভূ
ছায়ারা বিবশ হয়। ঋতুজন্মকাল
লক্ষ অযুত প্রতিধ্বনী নেমে আসে
জাহাজের নোঙরে ভোঁ
তুমি কি তেমনই
সান্তাক্লজ,
বিষবালিকে
থোড়া সা সজদা করো, এ জীবন
এ আলমারীর জীবন
পটভূমিকা দেখে মিউচুয়াল ফান্ড
কেনা, বেচা, চার নম্বর লায়ন্স রেঞ্জ
এখনও জেগে আছো যাদুকরী ? শুনেছো
এবারো হেদুয়ায়
শীতের পশরা চেয়েচিন্তে বিকেলের চাওমিন
যতটা ফুরিয়ে যাওয়ার পরিচর্যা
ততটাই কাউন্টডাউন
গরম হচ্ছে
নন-রিফান্ডেবল
মাঝপথে যেটুকু রাখাল
তুমি থামলে না
মরশুমি প্রেমে স্বস্তি খোঁজা
যে কোন চোখ, যে কোন ডিভাইডার
গ্রাসের নাম টমেটো পালং
বিপিএল কার্ড, এসো চা খাই
উগরে দিই বৎসরান্ত
উপস্থিত যারা ছিলো, সর্বস্ব
নদীরাস্তা বেয়ে হরিণের ছাল
বেনীমাধব জিতে গ্যালো
শিস শুনে বোঝো না কি উন্মত্ত যুবক
শীৎকার ফেরৎ নেই তৎকালে
ধরে নাও
বিয়েবাড়ীটুকুই ভরোসা আর
তুমি সেখানে
জাস্ট ইনভাইটি, সূচের মত কলোনিয়াল
রঞ্জাবতী
খোলা রাস্তা জুড়ে ঘোড়া ছুটছে
আমাদের কোনো মশাল নেই
আমাদের কোনো মোমবাতি নেই
অন্ধকারেই মিছিল
আলোর দপদপ
পিছিয়ে দিচ্ছে আলো
সম্প্রতি ঘরে শুয়ে আছি
পংক্তি পড়া হলে তুমি শাড়ি খুলে নাও
আমি বিধ্বস্ত কাম
দম্পতি ফিরে এলে
নতুন উৎসবে তোমার ইনোভেশন
তোমার পুরুষার্থ
মাঝে মাঝে নদীতে হাইওয়ে আসে
তুমি কি বিবাহিত ? ডিভোর্সী ?
প্রবেশ করো তবে
নতুন শোওয়া
নতুন খুন নিশ্চিত করো, আরপার
টিকে যাও
___________________________________________________________________________________
রিমি দে-র কবিতা
কালো বেড়াল
১
সাদা-কালো-নীল-লাল বেড়ালগুলিকে সেলাই করে রাখা হল
মাছের পর দুধ, দুধের পর মধু
চাবুক পেটানো
এলানো আরাম এসো নীলা
কাতরানো বাদুর
ঝরে পড়া বৈদূর্যমণি
ঝড়ে যায় উড়ে যায় উড়ন্ত বেড়াল
২
দরজাটি তাকিয়ে রয়েছে দেয়াল গড়িয়ে
জানালার দিকে
কয়েক টুকরো পাথর রোমশে
ভেঙ্গে দিচ্ছে রাঙ্গা বেড়ালের ফ্যাকাসে
___________________________________________________________________________________
উমাপদ কর-এর কবিতা
মনক্কা-চুর
১
নির্বাচিত শীতকাল পাতার হাড়ে চুঁইয়ে নামে
অংশত তুমি কাঠের নৌকো হয়ে ওঠো
ভাসব,
হালের ছায়া ভেসে যাবে, অধিক
২
চৌকাঠে ঠায় দাঁড়িয়ে লম্ব
ভূমির পাপোশে লজেন্স মুখে বেড়ালছানারা
তোমার ছবি থেকে অতিভুজ সোফায় হেলানো
কিন্তু, কিছুতেই একটা ত্রিভুজ হয়ে উঠছে না
৩
রোদের রোমে তৈরী উল-বল পায়ের কাছে নাচছে
তে-কাঁটায় বুনে চলেছো শীত
একটু একটু ইন্সোমনিয়া
ওষুধেরা পক্ষে বিপক্ষে তর্ক শুরু করে...
৪
চোখ রেখে রেখে রেখার বাইরে চলে যাওয়া তার
তোমার আনমনায় লুকোচুরি খেলে
খেলুক, একেকটি আমি পোস্টে পোস্টে দাঁড়িয়ে
রেখার ভেতরে বালক পেতে থাকি
৫
তুলো হয়ে উঠছ
অসুখ ছড়িয়ে বিছানা অ্যালবাম হল
ডেটলে কতটুকু রক্তপাতই বা বন্ধ করতে পারো
অনুচক্রিকা হাত পেতে থাকলে
৬
তিনটে ভাদ্র দিনের জন্য একটা ফাগুন দিন ফ্রি
বিক্রি হচ্ছে
ডাই করা শার্টের সেলাই খুলে সুতোগুলো
তোমাকে জড়াচ্ছে, ডিউস হয়ে উঠছ
শরতে
৭
পোড়-খাওয়া সাবলীলগুলো
জ্বালামুখের ধোঁয়ায় আকার পাচ্ছে
পুড়ছে জবরদখল
পেরেকগুলো আলাদা করি
বিঁধতে গিয়ে বেঁকেছে যারা
৮
ফেলে আসা লাশ
মাংসের ক্যানভাসে
হাড় হাড্ডি
ফিরিয়ে দে মস্তিষ্কের জেলি, বীর্যথলি, নোনা সহবাস...
৯
ভলক্যানোর উদ্গারে পূর্ণ কঙ্কাল ছড়িয়ে পড়লে
মাংস লাভা
আরেকটা যুদ্ধ, আরও হারিকিরি
লেটুশ পাতায় মুখ ঢেকো না
১০
জটিল মেঘের কবন্ধ গলছে ছিটছিটে রক্তে
শিশুটি আর কাঁদছে না
সিঁটানো মুখে অতি অল্প হাঁ জাগর
থমকানো বেলা, ইনফিনিটি...
___________________________________________________________________________________
___________________________________________________________________________________
অনুপম মুখোপাধ্যায়-এর পুনরাধুনিক কবিতা
ধর্মচাঁদ
।
চাঁদের হাসি হলুদ লাল হোলে। ভালো
চাঁদের হাসি হলদে নীল হোলে। ভালো
।
এখন ওই জানালা যেন ১
বাচ্চাছেলের মনখারাপের। মুখ
।
হাতে ওর রংখেলনা দাও
জামা দাও জামা দাও জানা
রংগোপাল। রংযেশাস
রঙিন মহম্মদ
।
রংকে wrong নিও না। প্রিয়
।
দ্যাখো। ১ ফালি
মুচড়ে ওঠা ধর্মগ্রন্থ book
।
পূর্ণচাঁদ। ফ্যালনা হচ্ছে
ধাম হচ্ছে কোথাও
।
যিশুজন্ম
।
হাওয়া খুললে তোমার মেরীর গা। গায়ে এসে লাগে
গায়ের নাম দেহ
দেহ বললে দেওয়া হয় না
।
কেন। যোসেফ। কেন
।
ফিজিক্সের তত্ত্ব মেনে
কেউ কেউ পকেটমার হয়
।
শরীরে কত পকেট থাকছে। বলো
১টা পকেটের নাম দেহ
।
এই মাইরি দেহ
বিনামেঘে যেশাস জন্মে যায়
___________________________________________________________________________________
___________________________________________________________________________________
পীযূষকান্তি বিশ্বাস-এর কবিতা
বালতি
দড়িগাছার প্রতি তার টান
মিঠা, আর বড় মিঠা সে মোচড়,
বুকের সাথে বুক জড়িয়ে
বারংবার পাকে পাকে যে সম্পর্ক,
যখন ওড়না ঢাকা জাঠনির গোর হাতের স্পর্শে তার চমক জেগেছিলো,
লন্ডনময় টেমস ভেঙ্গে ভেঙ্গে
রোম রোম পার করে গেছিলো স্পন্দন
বুকের উপরে উঠে এসে জলের নিম্নমুখী ধারা
পিপাসিত নারীর সর্বাঙ্গে এক বিরামচিহ্ন একে
রিসাইকেলে চলে যায় বালতি ।
কুয়োটার কাছাকাছি আর কোন ব্যস্ততা নেই,
অনেকটা সবুজ পড়ে আছে আশেপাশে, দড়ি, আংটা
ভালোবাসা বলে কিছুটা তরল তুলে আনতে হলে
অতল গভীরে নামতে হয়,
হয় নীচে যাও, আরো নীচে নামো,
খানিকটা আকাশও যেখানে ডুবে আছে
দুপা ডুবালেই জল
দুপা এগোলেই দেওয়াল,
যে দিকেই চলে যাওনা কেন,
কিছুই যেন আর দৃষ্টি গোচর হয় না
এখানেই আমার পৃথিবী,
ডুবুরীর মত তুলে আনবো
ডুবে আছি কুঁয়োর জলে
ওড়নাখোলা জাঠনির মুখের ছবি পড়বে বলে ...
সূচক
যা কিছু রুলার ছিলো, ছোট পড়ে যায় বলে
আমি কিছু শূন্য একাট্টা করি,
দাগ দাগ আঙুলগুলো সাজিয়ে
গদগদ ইশারা করি প্রতিবেশীনিকে,
আজ ঠিক দেখো চাঁদনী নামবে তোমার উঠানে
অন্ধকারকে মোলায়েম করে তুলবে আজকের জ্যোৎস্না ।
দু-হাত বাড়িয়ে যে আকাশ ধরা যেত মুঠোয়
স্টাইল মেরে পকেটে ঢুকিয়ে নিই দেশজ এভারেস্ট
রক্তচাপ কতটা শিখরে পৌঁছালে সেন্টিমিটার কম পড়ে যায়
সহ্যেরও কোন সূচক আছে ? উটের গ্রীবার মত স্টক ?
অথবা দেশ ছাড়ার জন্য অসহিষ্ণুতার ?
দু-ফোঁটা দুধের জন্য তাই সাদা খাতার কাছে ফিরে আসতে হয়
দু-দৃশ্য রঙের জন্য চাই রাত
আসলে বুঝছি ঢের ! পরিমাপ !
সহ্যের কথা বলতে গিয়ে ভালোবাসা মেপে ফেলি
কিংবা দাগ ধরতে গিয়ে গাঁ উজাড়
জানি এ রাস্তায় অস্ত আর মাড়াবেনা পা
ভাজা মাছটি ওল্টাতে ওল্টাতে
প্যাঁচে প্যাঁচে যখন স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকে যায় নীচে
কড়ায়ের অতল থেকে একরাশ বুদবুদ উপরে উঠে আসে
টাকার ওঠা নামা কোন সমস্যার ছিলো না,
আমদানীর অবস্থান নিয়ে কোন বেঞ্চমার্ক নেই,
এক পার্ট গীতা ও
পিঠে এতবড় শূন্য নিয়ে
আজও সূর্য দাগ দাগ নামতে থাকে গভীরে
আরও অন্ধকারের গভীরে !
এন
যে কোন দিকেই ঝুঁকে পড়া যায়
পায়ে পায়ে এগিয়ে যেতে থাকে যে দেহ
ভরবেগ সামাল সামাল করতে করতে গুনে নিই
বৃত্তের ক্ষেত্রফল,
নাম্বার টা 'এন',
মানে এত মানুষের
ডাক....
পথ
কি দিয়ে বুঝাই, ঘাড়ের উপরে রেখেছি যে বোঝা
একদিন তা নুন হয়ে ধুয়ে যাবে বলে
দিনরাত খেটে যাই
ঘোড়ারা নাকি শুতে পারে না,
তাদের খাট থেকে অনেকদূরে আস্তাবল,
ঘোড় সওয়াররা জানে প্রতিটা ছড়ির দাগের ইতিহাস
নিজের বুকে এসে বসে যাবে জীবনরেখা তাই
ছুটে যেতে হয় আমাদের আরো একটা সড়কের উদ্দেশ্যে
আমাদের ইতস্তত ঘোরাঘুরির একটাই গন্তব্য
রাস্তা থেকে বেরিরে এসে ফের রাস্তার খোঁজ-
ক্লান্তি জানে না বোঝার গুরুত্ব
চাকা জানে না মাথার অবস্থান
দিকবিদিক পিষে চলেছি
মাটির সাথে মাটি
ধুলোর সাথে ধুলো !
___________________________________________________________________________________
তানিয়া চক্রবর্তী-র কবিতা
ব্লাউজ কাটা নর্তকী
১ আগডুম-বাগডুম
ছিল এক নম্র কন্যা
ছিলিমে তড়াক দিল সেবিকা
রুগীর সারা শরীরে দ্বৈত বাসনা
সমস্ত আগডুম খাওয়া মানুষ
বাগডুম খেলে পরিচিত হচ্ছে
কারণ অসাধারণ ও সুন্দর
সবচেয়ে সস্তা শব্দ
২ নেশা......
আমার বন্ধু বললেন
ওনার রিক্সাওয়ালা নেশা করে
সবচেয়ে বেশী নেশা তার লেডিসে হয়
বন্ধু ভাবে --- লেডিস ---নারকোটিক কোড
লেডিসের দাম ৩০০ টাকা,
দালাল জোগাড় করে একমাসে একটা
কিন্তু লেডিসে তার দারুণ নেশা হয়
৩ লেডিস ফিগার
লেডিস ফিগার, লেডিস ফিগার
চাকুম-চুকুম---
আমি ঈশ্বর মানি প্রণাম করো
ভগবানের মতো ছোঁবো
আমি বাবার মতো
জড়িয়ে ধরো ভগবানের মতো ছোঁবো
রিক্সাওয়ালার লেডিস নেশা
পেটুক স্বচ্ছ স্যালাইভা
৪ চুম্বনবধকারী বীর্য
প্লাস্টিকের মধ্যে দুধসাদা জীবন
আমার ভাত খাওয়া মনে পড়ে
আমার মাংস দিয়ে ছেলেটা
পেট ভরে ভাত খেয়েছিল ঠাকুরঘরে
খাওয়ার আগে অন্ন প্রণাম করেছিল
পৈতে ছুঁয়ে খেয়েছিল মাংস
আমার মাংস খাওয়ার আগে
সে অন্ন প্রণাম করেছিল !
আমি তাকে ক্রমশ ঠেলেছি
ব্যর্থ লিঙ্গের নামে
আমাদের পলিথিন পৃথিবী
পরমান্নে ভরে গেছে
৫ কামড়
প্রকৃত কামড় খেলে ব্ল্যাকআউট হয়
ভ্যানগগের কান কামড়ানো
কার্ট কোবেনের বিরূপ গন্ধ থেকে ফেরা
আমায় দৃষ্টান্ত শেখাচ্ছে
মেয়েগুলোর জরায়ু থাকে
ওখানে বাচ্চা আসে
তাই ওরা শরীরের সঙ্গে আত্মা দিয়ে দেয়
---হায়রে লেডিস ফিগার!
৬ বর্তুলাকার চক্র
দাম বাড়াবে, কীভাবে?
চাল আর ভাতের মাঝে
সেদ্ধ মুহুর্ত ভেবে, দাম বাড়বে?
শরীরে ডানা গজালে
আগুন পিঁপড়ে পিঁপড়ে খেলে
যাদের ব্যাগে অপর্যাপ্ত কন্ডোম
তাদের প্রতি সন্দেহ জাগছে
তালা দেখলে এখন ভয় লাগে
কন্ডোম আর সাপ
একসঙ্গে বেরিয়ে আসবে না তো!
৭ বদনাম
কিছু রটলে এখন দারুণ লাগে,
আগে ভয় হতো --- ইস শেয়ালের আঙুরপ্রীতি
রটনার সঙ্গে আমের আচার
যার সঙ্গে জিভ টক টক আওয়াজ করে
ভেজা আস্তাবলের হ্রেষা আর ঘর্মাক্ত পিঠ
বদনাম হলে হোক না!
ওপরে যে উঠছে
সে নীচের শরীরকে বদনাম করে ভ্রম থেকে
রেগুলেটরের জন্য আজকাল কষ্ট হয়
ফেনের গতিতে এত সন্দেহ
তাই সমস্ত গ্রীষ্ম
জানলা খোলার কথা ভেবে রেখেছি
৮ পেট মধ্যস্থ চাবি
পাঞ্জাবি আর বাঙালি কবিতা
এবার হাফ প্যান্টে আসো
কাঁধ থেকে ঝোলা নামাও
এভাবে ঝুলতে ঝুলতে
সারা বিশ্ব মারিজুয়ানার চাষ করছে
তুমি ঘাতক বলে
সিগেরেটের পেট চুষে বার করে নিচ্ছ তামাক
কারণ “বাবা” তোমার সিগেরেটে ঢুকে কাঁদছে
আর মাতৃহীনতার ভয়ে
অজস্র মেয়ের পেট চুরি করে বেরাচ্ছে কারা যেন!
৯ ডেথ মেটাল ও মেয়ে
ছিঁটিয়ে পড়ছে ধর্ম, মুখোশ খোশমেজাজে ঘুরছে
কালোজিরে দিয়ে তরকারি বানাচ্ছে সংসার
সমস্ত মেয়ে, ও মেয়ে, ন্যাকা মেয়ে, ভেঙে পড়া মেয়ে
ডেথ মেটাল শোনো
সহজপাচ্য তোমার দুর্বলতা
মা হওয়ার আগে মা হোচ্ছো কেন এতোবার!
পারলে স্তন বার করে বলো--- ওটা বুক
ভঙ্গিমা বোঝাতে গিয়ে মুদ্রা হোয়ো না আর!
১০ শয়তান
শয়তানের চিৎকার আছে
কোনো দেয়াললিখন নেই
তার ডাকিনী ও বিশ্বাসী পুতুল আছে
তার দেশলাই, মৃত্যু
স্পষ্ট যৌনতা আছে
সাক্কাবুস ইনকাবুস---ডাকলে আসে
মানুষের সব আছে
শুধু কোনো চিৎকার নেই
মানুষ শ্রেষ্ঠ শয়তান !
১১ নর্তকী
কার্পেটের ওপর পড়ে আছে ঘুঙুর
শূন্য পেট, ওষুধ দিয়ে মারা বীজ
কার্পেটের ওপর পড়ে আছে খদ্দের
শূন্য মন, ধর্ষণ দিয়ে মারা দেহ
ব্লাউজ উড়ে যাচ্ছে
যুবক তীর-ধনুক দিয়ে মারছে ব্লাউজ
ফেটে যাচ্ছে সন্তান
দু’ফোঁটা মানুষের দুধ গিয়ে পড়েছে ছাগশিশুর গলায়
ব্লাউজ কাটা নর্তকী
শ্লীলতাহানির জন্য শ্লীল ছিল এতদিন!!!
___________________________________________________________________________________
___________________________________________________________________________________
যাদব দত্ত-র কবিতা
বুদবুদগুলো
তরুণ মেঘ বলতে পারো যাও বুদবুদগুলোকে
বেড়িয়ে নিয়ে এস
মথ তোমার কপালের হেঁয়ালি টিপ
গয়না সমুদ্র থেকে ওঠা স্তন্যপায়ী
গন্ধের আভাস পেয়েছে
আমিতো সামান্য তাঁতকলের মধ্যে
জল সেলাই শিখেছি
নখের আঁচড় এসো সাদা ফুল উগরে-
-দেওয়া সোলার লন্ঠনে
চোখ দিয়ে চিরে চিরে তোমার কোমরে ফুঁ দিই
ভ্রুরুমালের আরতো কোনো রাস্তা নেই
জলযান আছে
অ্যাক্যুরিয়ামে তাই তুমি ঘাম দিয়ে গড়া
অফুরান একটা মাছ
আর সামনে ওল্টানো নৌকোর ঘুমিয়ে পড়া
পাখনা নেভানো সামুদ্রিক হাওয়া
তবু সাড়া দেবে বলে বন ছুটছে
ম্যাসেজ বক্সের ভেতর মেটে সিঁদুর
তুমিও ছুটছো ....
চাঁদের বিনুনি
চাঁদের কৌটো বিনুনি খুলে গড়ে নিচ্ছে সন্ধ্যেবেলা
বোতলগুলোর শিক এবার গেঁথে ফেলবে
তার আলতা পরা পা
ধর্ষণপ্রিয় পরিযায়ী পাখি হারমোনিয়ামে
শুয়ে পড়ার প্রকৃতি ভাবে
জন্মদিন-ঘেরা বাদল দিনের দোলনা
আর কিভাবে নেভাবে গরম ইঞ্জিন
পুরুষের রাজমুকুট পুরুষ; একটা আশ্রয়
আর জলাশ্রয়
ভ্রমণের কলস স্তনদোল তাকে দোষ দিও না
পুরাণ থেকে ইনসেট বেলা যখন শরীরে
খয়েরি কিশলয় একটু একটু করে ওঠে
ওম রাজমুকুট আয়না একে অপরকেই চায়
ভ্রমের আর সম্ভ্রমের বডিলোসনে
আজও হিম পড়ছে
ঘোড়ার কেশরে সিংহীর কেশরে চোখের ত্রিফলায়
জেব্রাক্রশিং এর বাইরে বিরাট পাথরের
গড়িয়ে পড়া থেকে মুক্তি দেবে না কেন
___________________________________________________________________________________
___________________________________________________________________________________
অশোক তাঁতী-র কবিতা
প্যারাডক্স
আমার কিছু ব্যাক্তিগত নেই
সকালের শিশির পড়া
পায়রার প্রেম
ময়ূখ
সবাই আমার দিকে আঙুল তুলল, বিশ্বাসঘাতক
প্রেম কবিতা আর জীবিকা নিয়ে আমার নির্বাহ
ড্রেনপাথরের ওপর কয়েকটা ঘাসের টুকরো
সেমিকোলনের মতো ভেসে আছে ।
সালভাদোর দালির গলন্ত ছবিতে
খেলা করছে রোদ ।।
আয়নার সামনে থেকে সরে গিয়ে পেছনে দাঁড়ালাম
নিজের মুখ নেই,
নেই নিজস্ব আলোটুকু,
যাকে আপনার ভাবা যায়
তেমন ইতিহাসের এঁটোকাঁটা
খুঁজে পায়না পূর্ব-পরিকল্পিত মুখ
তোর মুখ ঝিমধরা চোখের মধ্যে।
ঘুম থেকে জেগে উঠে
তুইও বললি, ছি, ছিঃ !
প্যারাডক্স এক নান্দনিক নেশা জাগায়
দুঃখ আর আনন্দের বিরল মিশেল
শিশুর উলঙ্গতা,
দেবদাসীর ঊত্যুঙ্গ ঘুঙুর হাতে তুলে নিলে প্রেম
শরীর প্যাঁচানো লতা
খুনসুটির ব্যাকরণ হারিয়ে
একক দাঁড়িয়ে থাকি জায়মান
অণুটির মতো
ঘুমন্ত কন্যার মুখ তাহার মাতার মতো
আর তোর মতো;
মেঘে মেঘে স্বপ্ন দেখে
সোনালী হরিণ
কাহিনীবিন্যাসে এখন গহীন কুয়াশা
ঘুমে মন নেই
ঘুণপোকা
তুই ও তাহারা অকাতরে
ঘুমা
।।
___________________________________________________________________________________
___________________________________________________________________________________
দীপঙ্কর দত্ত-র কবিতা
আঁধি
যে সব ব্রুনোদের দানোয় পেয়েছে
পিএম দুই দশমিক পাঁচ নাওদের মনপবন ছশো মাইক্রোগ্রাম পার হলে
সুঁড়িসুরকির বীহড়ে আঘাজ হয় তাদের বাইক আর
ব্লোজবে মূর্ধা জিহ্বা জ্বলে ওঠা বিচ বিয়াত্রিচের হুজুম
হাঙ্গার কি তো বাজাও দখিন সান্তালেখোলা
লাশ পচে ওঠার বহু আগেই শ্বাসে ফুসফুসের দুর্গন্ধ ধাঙরদের জানান দিয়েছে
রিহ্যাবের খোয়া ও মোরাম আর বাইল পাতার ঝুঁকি-ঝুঁকি সি কোন ফ্লোরে বডি
ফোঁপরা ঘুণাক্ষর হ্যাশ জুড়ে জুড়ে প্যারেনকাইমার খুফিয়া জাফরিতে
আলো এখন এক পিউরি টানটান ফিলামেন্ট
একেকটি ণিচ্ প্রত্যয় আর ঝলসানো ণিজন্ত ধাতুর ডিলডো বেগানী বে দিয়ে দিয়ে
দিবানা আবদুল্লা হামলে পড়ছে চান্দ্রমাস
ইউটেরাস ছ্যাঁদা না করে য়োর হনার রড কি করে ইনটেস্টাইনে পৌঁছয়
আমাকে বুঝিয়ে দেওয়া হোক
গ্যাং ব্যাশের পর পরীরা কানামাছির রুমাল এঁটেছে ব্রাস্ট্র্যাপ
ঠিন্ঠিণ খুলে নেওয়া গুমটির শেষ চোখ গেলো ট্রাম
রাস শামরা খননের পর তুষারের ঝটিকা সফরে পথ আলো করে একেকটি মুঘলসরাইয়ের প্যাগোডা
থামি
বকযন্ত্রে বাবল্ বুলবুলা চা খাই ফ্রেন্ড ফিলজফার রুকস্যাক
তো ফের কি দাঁড়ালো, ফুটফুটে অ্যামিবা দ্বিখন্ডিত হয়ে একদিকে একেকটি যোনিজন্ম
আরেকদিকে ঠরকি জুভেনাইল লাফাঙ্গার হোহল্লা দবদবা ঠাট
একবিহান মুড়ি ভাজলি মা নারকেল কোরালি পল্লব বিছিয়ে আর স্তূপ হলো দমকা দমকা ঝড়
অব ধূল ভয়ি সাঁঝ
উদিত ভয়ো শোলা ধূম আর খাক আর হ্যান্ডকাফ বাইক মুঠভেড় —
ফ্রথ
উপপতিটির পিউ কাহাঁ ঢুঁড়ছি আর হোথায় জিভ ব্লকব্লক করছে বৈদ্যুতিন ফিজ়া ও ফিতুর
য-ফলা টাইপ করলে র-এর সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশনে আজকাল রেফ গজিয়ে উঠছে
ফলে টুসু আমার টুসু, কাচ্চা চিট্ঠা ও ডিম গুলিকে নিষেক দেওয়ার জন্য আমি এ যাত্রা সেনেটে
স্রেফ ভীড় উস্কে দিয়ে যাচ্ছি কয়েক লাখ অন্ধ হ্যালোপিনোর -
অবকে বরস কৌঁসুলি পেয়ে ভেসে উঠলো যে তিনকা ও তৎসংলগ্ন মানুষ
পুণ্যি ও পাপ পুকুরের মোৎসারেলায় স্পা লাফাচ্ছে তাদের শাটল ঘুঙরু
শ্লেষ্মায় জুড়ে আসা তোমার সহস্র যোনি দেখে নকটার্ন নিচ্ছে লালামেহ
জিভ ডগায় ভগবীজগুলি ছুঁলে দোপাটি ও বার্থোলিন ফেটে গড়িয়ে পড়ছে সেই নীল রক্ত
মেখলায় বৃশ্চিক কল্কা তুলতে তুলতে যে এনিমিক কাঁকড়াদের কুরুশ ভেসে গিয়েছিল উজানে —
___________________________________________________________________________________
গত সংখ্যার পাঠ-প্রতিক্রিয়া
Ranjan Moitra
: Joy guru. Aare tui amar post theke khabar peye amar aage Fara Sayeed
er kabita prakash kore felli ! Kichhutei 1st haoa hoy na amar. Jaai ektu
knede aasi.
Agni Roy : Kapiecho Ranjan Moitra Babu....Rohon Kanhai....aha.....
Ranjan Moitra : Thank you Agni babu. Aha. Babubaad jindabad.
Barin Ghosal : দারুণ সেকেন্ড কবিতাটা। @Ranjan Moitra
শুভঙ্কর পাল : Swapondar sakhatkar porlam valo....kintu mobile beshi para gelona ....darun kobita pare porbo.
Sk Nt : Asadharon procchod. hats'off
Radheshyam Ghosh : Darun get-up. pujoi paua maiden magazine...furfure haua boichhe..
Pijush Biswas :
যারা পুজো সংখ্যা বা শারদীয়া সংখ্যার জন্য প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকিয়ে থাকেন
তাদের কাছে একবার আবেদন থাকবে এই 'লিটল' ওয়েব মাগাজিনের উপর। কি অসম্ভব
ভ্যালু প্রোপোজিশন, কি তার উচ্চতা। প্রচন্ড অধ্যাবসয় না থাকলে এই মাত্রায়
ভালো কাজ করে যাওয়া সম্ভব নয়। দীপংকর দত্ত এক দিকে কবি অন্যদিকে সম্পাদক,
কিন্তু সম্পাদকীয় করেন না, যেটা বলার উনি কন্টেন্ট সিলেকশনে জানিয়ে দেন যে
অতি-বক্তব্য ওনার ধাতে পোষায় না। শারদীয়া হ্যাটস অফ।
Radheshyam Ghosh : ayakdam
সুবল দত্ত : ওয়েব ম্যাগ এর একটা নতুন অধ্যায় ছবি ও আলোচনা ওঃ ফাটাফাটি।
দেব জীবনকেত : PoRbo dhire dhire.
(অজ্ঞাত পরিচয়) : asadharan kaj hochchhe.realy more than expectation.
Supriya Saha : Shunyakaal webzine nam porichito onek din dhorei. kichu lekha porechi, batikromi sahitter swad paoa jai, valo lage.
Swapan Roy
: দীপঙ্কর বরাবরের সাহসী...ওর কাগজে সেই একরোখা কিন্তু বৈচিত্রময় ছাপ
থাকবে না,সেটা হয়না!একটা পত্রিকা কেন এবং কিভাবে বন্ধন'কে গ্রন্থিহীন করে
শূন্যকাল ফলো করলে কিছুটা ধরতে পারা যায়!
Japamala GhoshRoy
: একদম ঠিক বলেছো স্বপন দা। আর দীপংকরের এই পত্রিকা সাজানোর ভাবনা
একেবারেই সবার চেয়ে আলাদা। প্রথম২ সহ্য করতে পারতাম না। খুব আহত হতাম।
আক্রান্ত হতাম। পরে বুঝলাম রূঢ় বাস্তব জীবনের পাzল গুলোই শূন্যকাল কে
ইন্ডিকেট করে। ও কাটা আঙুল দিয়ে লেখে এবং সেই আঙুল ও নিজেই কাটে।
Uday Narayan Jana : Samogro protrikati ekti anyono rakom prakaashonar dristanto hoe uthhe6e. Ottonto unchu maaner lekha o uposthapona.
Barin Ghosal : স্বপনের ইন্টারভিউ উপভোগ করলাম। সেসব দিনের কথা মনে পড়ছিল। মৌলিনাথ ভাল প্রশ্ন করেছো।
Moulinath Biswas : Dhanyabad Barinda.
Pijush Biswas : ঘোড়ার চালে মাত, দাবা খেলা চলছে ? @Swapan Roy
Barin Ghosal
: ভাল লাগল কৌশিক। নিজের অপমান বোধ, রাগ, অর্থকৌলিন্যের বঞ্চনা, যুবকের
সমস্যাগুলো কোন কালেই কম নয়। তাই সব তরুণের কাছে এই রিট্যালিয়েশনের কল্পনার
আদর হবেই। কিন্তু তোর কলম ? বাঃরে। @Kaushik Chakrabarty
Radheshyam Ghosh : পড়তে গিয়ে একটা শারীরিক অসুবিধে হচ্ছিলো। পড়া অসমাপ্ত। @Rimi Dey
Japamala GhoshRoy : শারীরিক অসুবিধে?
Radheshyam Ghosh : জ্যামিতি কবিতা কিছু কৌরবেই খুব সম্ভব পড়ে থাকবো। খুব ভালো একটা angle. @Abhijit Mitra.
Radheshyam Ghosh :
সুমিতেশের জীবৎকালে কতটা আলোচনা হয়েছে আমার জানা নেই, ওঁর মত আদোপান্ত
কবিকে নিয়ে এই আলোচনাটি খুব প্রাসঙ্গিক, একটা নতুন ভাবে দেখবার চেষ্টা। খুব
আনন্দ পেলাম। @Ramit Dey
Debanjan Das : কবি যেখানে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন নিজস্ব এলিমিনেশন প্রসেস - এই রকম এক প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে আলোচনাটি চমৎকার ... @Ramit Dey
Radheshyam Ghosh : এ তো মনে হচ্ছে আপনাদেরও আত্মজীবনের অংশ। (on Biren Dongwal) @Dipankar Dutta
Pijush Biswas : অসাধারণ কবিতা, হিন্দি কবিদের প্রতি আমার আকর্ষণ আরো বাড়ছে ! I have developed liking of Hindi Poets more. (on Biren Dongwal)
Radheshyam Ghosh : Specially composed. স্ক্যাভেঞ্জ্যারের ব্যাগে ওয়েস্ট আইটেমের গাঁথা মালাকে জেমের করে তুললো সে কোন কেমিস্ট না অ্যাল!! টুপি খুল্লাম... @Barin Ghosal
Pijush Biswas : বারীন দার হাতে এত যাদু, অবাক হতে হয়, He is simply a magician even without magic realism ! @Barin Ghosal
Subal Dutta : হৃদয়ভূখণ্ডের অলীক পুরুষ তুমি, তুমি আমার পড়ন্ত অব্দি রয়েছ নতুন নতুন ...অপূর্ব মহক, ওঃ @Rabindra Guha
Pijush Biswas : এই প্রথম এই কবির কবিতা পড়লাম, ভারী চমতকার লেখেন। আজকাল বাংলা যে কোথায় কোথায় বর্তমান, সেটাই প্রতিদিন ভেবে আনন্দ পাই। @Farah Sayeed Nomro Nomrota
Pijush Biswas : শব্দের বাচ্চারা জন্মে নিচ্ছে কবিতায়। একটা সিগনেচার দেখা যায়। @Pranab Pal.
Hasan Robayet : ফারাহ সাঈদের লেখা বেশ লাগলো
Barin Ghosal : রঞ্জন, রোহান কানহাই দারুণ দারুণ। @Ranjan Moitra
Bhaswati Goswami : ছবি ছবি জল............কখন জলে ধোওয়া ব্লারড ওয়াশ পেইণ্টিং হয়েে যাচ্ছে.........।। @Ranjan Moitra
Pijush Biswas : রঞ্জন দা কি যে ছবি তুলে ধরেন, ছবিগুলো পা টেনে ধরে। "দূরে দূরে পেন্ডুলাম
ছায়া ছায়া হোম-স্টে, তালসারি, পাইনোটাইপ।" রঞ্জন দার উত্তর রঞ্জন দা। @Ranjan Moitra
Pijush Biswas
: ম্যাটারনিটি কবিতা টি অপুর্ব ! দিল্লিতে বসে অবাঙ্গালীদের মধ্যে থেকে এই
লেখাগুলি একদম খাপ খেয়ে যায়, বিশ্বাস হয় না এটা বর্ধমান থেকে লেখা ! দারুন
! @Japamala GhoshRoy
Bhaswati Goswami : দারুণ লাগছে সব্য.........আবার এক অন্য নতুন......। @সব্যসাচী সান্যাল
Pijush Biswas : খুনী মায়াবী হরিণ, সে-যে চমকে বেড়ায়, দৃষ্টি এড়ায়, যায় না তারে বাঁধা। @সব্যসাচী সান্যাল
Barin Ghosal : খুনী আমাকেও চিনে ফেলবে, তাহলে ? গোয়েন্দা দাদা ? @সব্যসাচী সান্যাল
Pijush Biswas : চমৎকার কবিতা । বাহ ! দু ফাল পৃষ্ঠার মাংস, নসিয়াও পতাকা তুলেছে
ভ্রমর পুরোনো কাব্য, চুল্লিবাজি
ঢোকাবো অতটা --------দারুণ ! @Anindya Roy
Bhaswati Goswami : দিল্ ছুঁ লিয়া জনাব........." ছেলেবেলার ভুলগুলি মেঘ হয়ে নেমে আসে.........। @Agni Roy
Pijush Biswas : অমায়িক আর এত সরল ভাবে আসে অগ্নি দার হাতে - "গোপন আর্দ্রতার খবর
পরদিন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় না।" -- থাক কিছুটা গোপন থাক ! বাহ @Agni Roy
Barin Ghosal : ভাইরাস ৩ ভাল হয়েছে ভাস্বতী। Bhaswati Goswami
Bhaswati Goswami : আপনার প্রদর্শিত পথ চলে, লেখার প্রতি সততা যেন ধরে রাখতে পারি...... এই আশীর্বাদ করবেন @Barin Ghosal
Radheshyam Ghosh : ভাইরাস-৩ দারুণ লাগলো। @Bhaswati Goswami
Bhaswati Goswami : অনেক ধন্যবাদ দাদা.........লিখতে পারছিলাম না......আপনার কথায় নতুন করে উদ্যম পেলাম...। @Radheshyam Ghosh
Pijush Biswas : ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ুক ! একটা ল্যাপটপ থেকে অন্য ডেস্কটপ ! দারুণ । @Bhaswati Goswami
Pijush Biswas : ছবিগুলো জীবন্ত হয়ে উঠেছে। এমনই তুলির আঁচড় ! নাড়াচাড়া
ফ্যানাগুলি
গাছের দিকে আরও গাছ হয়ে যাচ্ছে...--বাহ @Nilabja Chakrabarti
Barin Ghosal : ভাল লিখেছিস নীল। স্তন থেকে স্তনের আকার ঝরে গেলে কি থাকে ভাবছি। অথচ গাছের দিকে আরও গাছ হওয়া জমে ক্ষীর। স্বাদু এই ফিলিং। @Nilabja Chakrabarti
Radheshyam Ghosh :
অদ্ভুৎ শোষণশক্তি এই কবিতার। ইজাকিউলেশন, স্কিজয়েড-মালাই-য়ের গুণে কত মিহি
হয়ে গ্যাছে। কী আত্মসাৎ করেনি এ লেখা! ড্যাফোদিলওয়ালা আফতাব,.....একটি
বিড়ালচলনের/পোহানু এক/ঘিণোনা আঁতোয়ানেত....নূপের গাঙে নূপ ভেসে যায়....... @Dipankar Dutta.
Pijush Biswas : "হুলা" কবিতাটা খুব শক্তিশালী কবিতা, আমার ধরাছোঁয়ার বাইরে ! @Dipankar Dutta.
Barin Ghosal : নার্গিসিস্টিক নার্সিশাস কি লিখেছিস রে দীপু ! অসাধারণ। বহুদিন পরে তোর কবিতায় চার্জড হয়ে গেলাম। @Dipankar Dutta.
Nilabja Chakrabarti : Shunyakaal Webzine-ke kritiggotaa... Pijush baabu... thanks... Barin daa... smile emoticon anek dhanyabaad...
Debasis Mukhopadhyay
: বাংলা কবিতা যে কতোখানি এগিয়ে এবং এর ভাষা কতটা আধুনিক হওয়া দরকার
চিন্তার সঙ্গে তা শূন্যকাল ওয়েবজিন না পড়লে সত্যি জানা যেতো না । ভালো
কবিতা পড়লাম । শুভকামনা রইলো ।
Amitabha Mukhopadhyay : অনেক লেখাই বেশ ভালো লাগলো। অভিনন্দন, দীপংকরদা।
Bhaswati Goswami : @Pijush Biswas "রিসাইকেল বিন টানটান কবিতা......পাওয়ারফুল এ্যাণ্ড স্মার্ট......।"
Bhaswati Goswami : @Nilabja Chakrabarti "খুব ভাল লেখা নীলাব্জ......ফিলিং ও কন্ভেয়িং......ভরিয়ে দিচ্ছে......।।"
Nilabja Chakrabarti : Thanks Bhaswati di... smile emoticon
Bhaswati Goswami : @Dipankar Dutta "সিম্পলি ওয়াও......।"
Bhaswati Goswami : @Barin Ghosal
"অবাক হতে হয় ভেবে.........প্রতি মুহূর্তে বারীনদা.........নতুনকে
ভাঙ্গছেন গড়ছেন....প্রতি নিয়ত নির্মাণ বিনির্মাণের এক সজীব প্রক্রিয়া...।।"
Taniya Chakraborty : khub bhalo sankhyaa....khub
Bhaswati Goswami
: sampurno....bhinno swaad er dui kathopocharon..... Very enriching
experience Swapan Roy da o Malay da.....aar ebhabe aamader kachhe onder
pnouchhe deoar jonye....dhonyobaad...
Dipankar....Arupda.......Moulinathda
Radheshyam Ghosh : @মলয় রায়চৌধুরী "বিভিন্ন literary theoryগুলোর ঢেউয়ে কিভাবে সওয়ারী হয়েছেন, কবি মলয় রায়চৌধুরীর সেইসব পিঠে-চাপা অভিজ্ঞতা জানা গেল।"
মলয় রায়চৌধুরী : Radheshyam Ghosh Babukey aamar pennam janio.
Radheshyam Ghosh : ছ্যা ছ্যা, কুন্ঠিত হলুম। বয়স, আয়তন, অভিজ্ঞতা আর যদি কোন দশক পরিচয় থাকে তাতেও আমরা নব্বই, আপনি ষাট-শাট শাট.... @Malay Roychoudhury
অভি সমাদ্দার : amra-ta k k re
Radheshyam Ghosh : amra trivam, অভি সমাদ্দার
Radheshyam Ghosh :
"নতুন কবিতার জেদি সৈনিকদের মধ্যে আমাদের এদিকার প্রতিনিধি স্বপনদা।
ম্যানিফ্যাস্টো লেখা, কবিতা আন্দোলনে পাম দেওয়া আর নতুন কবিতা সত্যি সত্যি
লেখা অন্য জিনিস। স্বপনদার কয়েকটি নতুন কবিতা আমি নিজে পড়েছি, আমি অভি
সমাদ্দার, আমি অভি দূর্বা পড়েছি। অভি বলেছে, চল ঘুরে আসা যাক স্বপনে বানানো
দেশ, স্ব দেশ আমাদের। আচ্ছা, পিটুলিপাতার দোনার স্বদেশ কি নতুন কবিতার
জার্নি হতে পারে? @Swapan Roy Moulinath Biswas
Japamala GhoshRoy
: "দীপংকরের হাতে হিন্দী কবিতার এই ভাবানুবাদ এত সাবলীল হয়ে উঠেছে এই
কারণেই যে এই কবিতার সঙ্গে কোন না কোন ভাবে ওর আত্মিক যোগ রয়েছে। এটা
একান্ত আমার ভাবনা।" (on Biren Dongwal)
Japamala GhoshRoy
: "কবিতা টা অসাধারণ একটা নতুন মেনু। রেসিপি টাও সবার চেয়ে আলাদা আর
অভিনব। এমন রান্না আমি পারবো না। মানে এমন কবিতা লিখতে পারবো না।" @Barin Ghosal
Japamala GhoshRoy
: "অসম্ভব ত্রিগুণাতীত, কোষে কোষে এবং প্লাজমায়, লালার সিক্ততা থেকে
লালসার ঊর্ধ্বে ওঠা বিষ থেকে বিষাদ পেরোনো অমৃত পুরুষকার। হে রবীন্দ্র!
জপমালার লহ নমস্কার। প্রণাম রবীন্দ্র দা।" @Rabindra Guha
Ranjan Moitra : "স্বপন আর মৌলিনাথ দুজনকেই ভালবাসা এই সুন্দর কথোপকথনের জন্য। @Swapan Roy, Moulinath Biswas
Moulinath Biswas : Amar o Swapaner sanlap jader valo lagchhe sabai ke dhanyabad. tabe krititwa besitai Dipankar o Swapaner.
Ranjan Moitra : "অনুবাদটা চমৎকার হয়েছে দীপঙ্কর" (on Biren Dongwal)
Ranjan Moitra
: "দারুণ খেলেছো বারীন দা। ইন্ট্রো থেকে কবিতার শরীরে আসার আগে মধিখানের
ওই জগাখিচুড়ি, অণুবাগান থেকে ভ্রুণ থেকে রক্তমাংসে্র সংগঠনে আসার আগে ওই
উল্টানো ব্যাগ ও রেসিপি, ঝাড়ুদারের ঝুলিতে বুড়িয়ে যাওয়া ট্রেকিংও, আক্রমণ ও
নবনীর দুইমেশালি, জমিয়ে দিয়েছো।" @Barin Ghosal
Ranjan Moitra : "বারীন দা কিন্তু ওই রান্নাটা সত্যিই ভালো রাঁধে জপমালা। আমি খেয়ে সাক্ষী।" @Japamala GhoshRoy
Ranjan Moitra : "অপূর্ব মহক" @Rabindra Guha
Ranjan Moitra : "দারুণ, ফারাহ্। বাগানের জোড়া ক্যাফেইন আর অহল্যার ভাইভা বেশি ভালো লাগলো" @Nomro Nomrota
Ranjan Moitra : "প্রণবিয়" @Pronab Pal.
Ranjan Moitra : "পুরো চাবকে দিয়েছো জপমালা।" @Japamala GhoshRoy
Ranjan Moitra
: "সূত্র মুছতে ফিরে আসেন খুনী, আস্তে আস্তে ঘটনা তাঁকেও মুছে
ফেলে......মৃদু একটা তার্পিন তেলের গন্ধ সীডার বনের থেকে উঠে আসে
----------- আহা" @সব্যসাচী সান্যাল
সব্যসাচী সান্যাল : Thank you gurudeb
Ranjan Moitra
: "অনেকদিন পর তোর কবিতা পড়লাম অনিন্দ্য। যদি আমি ঠিকঠাক ধরতে পেরে থাকি
তাহলে, দৃশ্য দিয়ে শুরু করে তারপর সেই দৃশ্যকেই অনুচ্চকিত উচ্চারণে ধ্বংস
করে, তার অনুসঙ্গগুলিকে কল্পিত অভিজ্ঞতায় নয়া চেহারা দিয়ে তাই দিয়ে
কবিতাশরীর নির্মাণ ----- এই পরীক্ষা----- ভাল উৎরেছিস------- । আর একটু
লাবণ্য যোগ করার কথা ভেবে দেখতে পারিস। তবে এ সব কথাই আমি তোর কবিতা কতটা
স্পর্শ করতে পেরেছি তার ওপরেই নির্ভর করছে।" @Anindya Roy
Ranjan Moitra : "সেচব্যাবস্থা শব্দটার অসাধারণ ব্যবহার করেছিস অগ্নি।" @Agni Roy
Ranjan Moitra : "ভাল লেখা পীযূষ। রিসাইকেল বিন - এর আবিষ্কার গুলি আর একবার রিসাইকেল্ড হোক না ---- আমরা অপেক্ষায়" @Pijush Biswas
Ranjan Moitra
: "ভাইরাস - ৩ খুব ভাল । "কোথাও জমেনি বলে তুমি মেঘ ফলাতে যাও "---- শুধু
এই অংশটুকু থেকে কি আর একটা কবিতা শুরু করার কথা ভাবা যেতে পারে, ভেবে
দেখতে পারো। পরামর্শ মাত্র।" @Bhaswati Goswami
Ranjan Moitra : "আহা। কেয়া বাত।" @Nilabja Chakrabarti
Bijleeraj Patra : darun
Nilabja Chakrabarti : Thanks Ranjan daa... eisab bhorsaay...
Ranjan Moitra
: "হুলা" বেশি ভাল লাগলো । সমস্ত আক্রমণাত্মক উচ্চারণ, ব্যাঙ্গ, ছড়াছড়ি
শরীরের নাট বোল্টু ইস্ক্রুপ সব কিছুর আড়াল ছাপিয়ে উঠছে মায়া ভালবাসা জীবনের
জন্য তীব্র টান। পাঠক আমি ভেবে দেখব, বোঝার চেষ্টা করব যে কি কাম এখানে
একাকার হয়ে যাওয়া ফেউ এবং হুলাদল-এর ! তারা কিই বা সামাল দেয় আর কি বা
খ্যাদায় ! যেখানে মানুষটি বারে বারে তার মুন্ডু আর ধড়কে নতুন করে খুঁজে
পায়, নতুন করে জোড়ে আবার ভেঙে ছত্রখান করে ফের নতুন করে সাদা ক্যানভাসের
সামনে বসে সিনা তানকে। যখন ওই লোমশ গলফ হোলকেও অনুসঙ্গের চেয়ে বেশি কিছু
মনে হয়না এই তীব্র জীবনবোধের পাশে। হয়তো ভুলই হোল, তবু আমি এভাবেই তোর
কবিতাটা থেকে আমার কবিতাটা পেয়েছি।" @Dipankar Dutta.
Japamala GhoshRoy : একদম ঠিক বিশ্লেষণ করেছো রঞ্জন দা। ভেঙে২ টুকরো২ করে আবার পাজল সাজাতে জানা টাই দীপঙ্করের বৈশিষ্ট্য।
দীপঙ্কর দত্ত : heart emoticon রঞ্জুবাবা।
Ranjan Moitra
: "নিজেকে নিয়ে রঙ্গ করা খুব সহজ কম্ম নয়। তৎকালীন যে ভাষা -পরিবেশের হাত
ধরে তোর রাগ হতাশা চাবুক সব উন্মোচন করেছিলি কবিতায়, আজ সেই কবিতার উন্মোচন
যখন করছিস তখনো তোর সেই ফুলে ওঠা রোঁয়াগুলো স্পষ্ট টের পাওয়া যাচ্ছে
উচ্চারণের তরোতাজা রসবোধটি সমেত। দারুণ, কৌশিক।" @Kaushik Chakrabarty
Ranjan Moitra
: "হাঁটি। দীর্ঘ সব ছায়ার ভেতর। যেন মর্মর না ওঠে।" "ক্রমে 'সুলতান' নামক
অবয়ব নিয়ে উঠে আসি সাদা পাতাটির বিক্ষোভে।" "তোমারই রোদ্দুর ভিজিয়ে নিচ্ছি,
জাস্ট স্থা-টি জড়িয়ে "--- এভাবে তোমার সাথে একটু হাঁটার চেষ্টা করলাম
অভী।" @অভি সমাদ্দার
Ranjan Moitra : "অপূর্ব , রাধে । এ আমার প্রাথমিক মুগ্ধতা । তবে সত্যিই কিছু বলতে গেলে বারে বারে পড়তে হবে কবিতা এবং গদ্য দুটোই।" @Radheshyam Ghosh
আমাদের ওয়েব ম্যাগাজিন শূন্যকাল সম্পর্কে আপনার মতামত জানান
ডাউনলোড ই-বুক
PDF files of old issues of Shunyakaal
SHUNYAKAAL 1st ISSUE.pdf Size : 724.339 Kb Type : pdf |
|
SHUNYAKAAL 2nd ISSUE 1st PAGE.pdf Size : 510.64 Kb Type : pdf |
|
SHUNYAKAAL 2nd ISSUE 2nd PAGE.pdf Size : 1144.934 Kb Type : pdf |
|
SHUNYAKAAL 2nd ISSUE 3rd PAGE.pdf Size : 383.546 Kb Type : pdf |
|
SHUNYAKAAL 3rd ISSUE.pdf Size : 667.94 Kb Type : pdf |
|
SHUNYAKAAL 4th ISSUE.pdf Size : 1252.471 Kb Type : pdf |
|
SHUNYAKAAL 5th ISSUE.pdf Size : 2723.217 Kb Type : pdf |
|
SHUNYAKAAL 6th ISSUE.pdf Size : 2762.112 Kb Type : pdf |
|
SHUNYAKAAL 7th ISSUE 1st PAGE.pdf Size : 900.347 Kb Type : pdf |
|
SHUNYAKAAL 7th ISSUE 2nd PAGE.pdf Size : 1286.668 Kb Type : pdf |
|
SHUNYAKAAL 7th ISSUE 3rd PAGE.pdf Size : 761.846 Kb Type : pdf |
|
SHUNYAKAAL 8 PAGE 1.pdf Size : 645.681 Kb Type : pdf |
|
SHUNYAKAAL 8 PAGE 2.pdf Size : 4415.896 Kb Type : pdf |
|
SHUNYAKAAL 8 PAGE 3.pdf Size : 281.704 Kb Type : pdf |
|
SHUNYAKAAL 9th ISSUE.pdf Size : 1197.451 Kb Type : pdf |
|
SHUNYAKAAL 10TH ISSUE PDF FILE.pdf Size : 1662.069 Kb Type : pdf |
|
SHUNYAKAAL 11 PDF.pdf Size : 710.368 Kb Type : pdf |
|
SHUNYAKAAL 12.pdf Size : 947.585 Kb Type : pdf |
|
Protham.pdf Size : 606.299 Kb Type : pdf |
|